বাংলাদেশ না হলে পশ্চিম পাকিস্তানীদের চাকর বাকর হয়ে থাকতে হতো।
ব্যবসা করে খেতে হতো না।
সচিব মেজর জেনারেল হতে হতো না।
এতো সুবিধার মুখ দেখতে হতো না।
ডিসেম্বর ও মার্চ মাসে এই ধরনের কথা বেশি শোনা যায়।
আমাদের তরুণ প্রজন্ম আত্মতৃপ্তি নিয়ে প্রচারমুখী নেতার দিকে মুগ্ধ দৃষ্টিতে তাকায়।
দেশপ্রেম তাদের বুকের ছাতি প্রসারিত করে।
তারা শপথ নেয়।
গত বছর না খেয়ে মারা যাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের মতো আর কাউকে মরতে দেয়া হবে না।
যে নারী মুক্তিযোদ্ধা গত ৪৩ বছর ধরে পার্কে চকলেট কিংবা ফুটপাথে খাবার বিক্রি করছে তাকে এবার একটা মুদির দোকান করে দেয়া হবে।
রিকশাচালক মুক্তিযোদ্ধার জন্য এবার একটা রিকশা কিনে দেয়া হবে।
অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করা, আহত কিংবা শহীদ হওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিদের জন্য এবার এলাকায় স্কুল চালু করতে হবে।
তাদেরকে বিনামূলে্য বই খাতা দিতে হবে।
কতো কাজ।
তরুণরা লিস্ট বানায়।
কাজের লিস্ট।
টাকা কড়ি কোথা থেকে আসবে সেই লিস্ট।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতে আশ্রয় নেয়া
বাংলাদেশের স্বনামধন্য ব্যবসায়ী
অবসর নেয়া সচিব, আমলা
আমলা থেকে রাজনীতিবিদ হওয়া
বাংলাদেশের সুবিধাভোগী মানুষেরা
তরুণদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে
অর্থকড়ি দেয়।
সঙ্গে তাদের কোম্পানির লোগোটা কিংবা নিজের নামটা তাদের হাতে তুলে দেয়।
দেশপ্রেমিক তরুণদের হাত ধরে রিকশা কেনার পয়সাটা।
মুদি দোকানের চালানের সাথে সাথে
সুবিধাভোগী মানুষের নামটা
কোম্পানির পণ্যটা পৌঁছে যায়
ঘরে ঘরে।
রাজনীতিবিদরা সেসব অনুষ্ঠান উদ্বোধন করে।
মিডিয়া সেসব প্রচার করে।
আমাদের সন্তানেরা স্বপ্ন দেখে এক সোনার বাংলাদেশের।
এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান