নির্বাচন ২০১৪ (কিস্তি ১): ৩০০ তরুণ-তরুণী যুবক-যুবতী কি নেই?


বাংলাদেশের জনসংখ্যার গড় বয়স হলো ২৪.৫ বছর। দেশে শিশু (যাদের বয়স ১৮ বছরের কম) জনসংখ্যা হলো ৬ কোটি ৬০ লাখ। আর ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী জনসংখ্যা হলো ৪ কোটি ৫০ লাখ। বাংলাদেশ সরকার ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সীদের বলছে ইয়ুথ বা তরুণ-তরুণী বা যুবক-যুবতী। যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের টার্গেটেড জনগোষ্ঠী এরাই। এরা দেশের রাজনীতির জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। কারণ এরা সবাই ভোটার। ২০১৪ সালে শিশু জনসংখ্যার মধ্যে যাদের বর্তমান বয়স ১৬ বছর তারাও ভোটার হবেন। সবমিলিয়ে দেশে তরুণ ভোটারের সংখ্যা দাড়াবে ৫ কোটির বেশি। এই দেশের রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আছে এই তরুণ প্রজন্মের। প্রশ্ন হলো তারা তাদের এই শক্তিকে ব্যবহার করবেন কিনা?

আমরা যদি বর্তমান রাজনীতির মূল প্লেয়ারদের দিকে তাকাই দেখব এরা যে বয়সে ক্ষমতায় গিয়েছেন তখন সবাই তরুণ ছিলেন। ত্রিশ বছর আগে আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগের দায়িত্ব নেন তখন তাঁর বয়স ছিলো ৩৩ বছর। ড. কামাল হোসেন যখন সংবিধান লেখেন তখন তার বয়স ছিলো ৩২ বছর। আমু, তোফায়েল, জলিল, কিংবা খালেদা জিয়া, অলি, বদরুদ্দোজা, কিংবা আবদুল হামিদ, হাফিজ এমন সবাই ২৫/৩০ বছর বয়স থেকে এমপি মন্ত্রী হয়েছেন। তাই যদি হবে, তাহলে আজকের তরুণ কিংবা তরুণীরা কেন নিজেকে একজন এমপি বা মন্ত্রী ভাবতে পারছেন না? দেশের সবচেয়ে বেশি ভোট তাদের বয়স গ্রুপের হাতে থাকার পরও কেন তারা সেটা ভাবতে পারছেন না?

আমরা কি আশা করতে পারি আগামী নির্বাচনে এই দেশের ৩০০ আসনের সংসদের প্রতিটি সিটের জন্য একজন তরুণ কিংবা তরুণী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন? যারা জেদী, সাহসী, দেশপ্রেমিক, দক্ষ, যুব ও পরিবেশ বান্ধব, দেশ দরদী, দেশের উন্নয়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের আদর্শের প্রতি অনুগত  এমন তরুণ তরুণীদের বলব প্রস্তুতি নিন নির্বাচন করার।

4 thoughts on “নির্বাচন ২০১৪ (কিস্তি ১): ৩০০ তরুণ-তরুণী যুবক-যুবতী কি নেই?

এখানে আপনার মন্তব্য রেখে যান